Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
আমের পাতা ও মুকুলের এনথ্রাকনোজ রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
বিস্তারিত

আমের পাতা ও মুকুলের এনথ্রাকনোজ রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

এই রোগ আম গাছের পাতা, কাণ্ড, মুকুল ও ফলে আক্রমণ করে। এর আক্রমণে পাতা, কাণ্ড, মুকুল ও ফলে ধূসর বাদামি রংয়ের অসম আকৃতির ছোট ছোট দাগ পড়ে। পরে ছোট ছোট দাগ একত্রিত হয়ে বড় দাগ তৈরি করে। আক্রান্ত মুকুল ঝরে পড়ে। যদি এই রোগ আমে আক্রমণ করে তবে আক্রান্ত ফলের গায়ে কালচে দাগ পড়ে এবং পরিশেষে আম পচে যায়। আম সংরক্ষণের সময় পাকা আমে ধূসর বাদামি থেকে কালো রংয়ের অসম আকৃতির দাগ পড়ে। আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে আম পচে যায়।

রোগের প্রতিকার

১. প্রতি বছর রোগাক্রান্ত বা মরা ডালপালা ছাঁটাই করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।

২. আম সংগ্রহের পর গাছের মরা ডাল কেটে পুড়িয়ে ফেলতে হবে এবং কাটা অংশে বর্দোপেস্ট (প্রতি লিটার পানিতে ১০০ গ্রাম তুঁতে ও ১০০ গ্রাম চুন) লাগাতে হবে।

৩. গাছে মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার পূর্বে প্রোপিকোনাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলিমিটার হারে মিশিয়ে গাছের পাতা, মুকুল ও ডালপালা ভালোভাবে ভিজিয়ে একবার স্প্রে করতে হবে। আবার আম গুঁটি বা মার্বেল আকার ধারণ করলে উপরোক্ত ওষুধ আরও একবার স্প্রে করতে হবে।

৪. বাড়ন্ত আমকে রোগমুক্ত করতে হলে আম সংগ্রহের ১৫ দিন আগ পর্যন্ত মেনকোজে গ্রুপের ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে দুই গ্রাম হারে বা কার্বেন্ডাজিন পানিতে এক গ্রাম হারে ১৫ দিনের ব্যবধানে তিন থেকে চার বার স্প্রে করতে হবে।

৫. আম সংগ্রহের পর ফাটা, কাটা, ক্ষত আম সরিয়ে ফেলতে হবে।

৬. পাঁচ সেন্টিমিটার বোটাসহ সংগ্রহ করতে হবে।

৭. আম সংগ্রহের পর গরম পানিতে ৫৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখার পর খোলা বাতাসে শুকিয়ে গুদামজাত করতে হবে।

ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
23/01/2024
আর্কাইভ তারিখ
29/02/2024