ফসল : শিম
রোগের নাম : শিমের উইল্ট রোগ
রোগের নাম : শিমের উইল্ট রোগ
রোগের কারণ : ছত্রাক
ক্ষতির ধরণ : কচি পাতা হঠাৎ করে নেতিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে গাছ মারা যায়।
ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে : বাড়ন্ত পর্যায় , চারা
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : কাণ্ড , কান্ডের গোঁড়ায়
ব্যবস্থাপনা :
কপার হাইড্রোক্সাইড জাতীয় বালাইনাশক(যেমনঃ চ্যাম্পিয়ন ২ গ্রাম ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে)/কার্বেন ডাজিম জাতীয় বালাইনাশক ম্যানসার/কম্পেনিয়ন/ ফরাস্টিন/অটোস্টিন ২ গ্রাম ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে) ১০ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে অথবা মাদার মাটিতে ট্রাইকোডারমা ৩০ গ্রাম প্রতি ৫০০ গ্রাম গোবরের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
পূর্ব-প্রস্তুতি :
আক্রান্ত জমিতে কয়েকবার দানাজাতীয় ফসল চাষ করে আবার শিম চাষ করুন। ফসল সংগ্রহের পর পুরাতন গাছ ও আবর্জনা আগুনে পুড়িয়ে দিন। জমি তৈরি করার সময় জমি গভীরভাবে চাষ দিন। বোনার আগে বীজ শোধন করুন চারা গজানোর পর অতিরিক্ত সেচ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
অন্যান্য :
সম্ভব হলে আক্রান্ত গাছ সংগ্রহ করে ধ্বংস বা পুড়িয়ে ফেলুন।
রোগের নামঃ
টমেটো/বেগুনের ব্যাক্টেরিয়াল উইল্ট বা ঢলে পড়া রোগ Bacterial Wilt of Tomato
লক্ষণঃ
ব্যাকটেরিয়াল উইল্ট একটি মাটিবাহিত রোগ।
এ রোগের জীবাণু শিকড়ের ক্ষতস্থান দিয়ে গাছে প্রবেশ করে এবং পানি-পরিবহন নালীর মধ্যে বংশ বিস্তার করে নালী পথ বন্ধ করে দেয়। ফলে পাতা ও গাছ সবুজ অবস্থায় নেতিয়ে বা ঢলে পড়ে।
এভাবে কয়েক দিনের মধ্যে সবুজ অবস্থাতেই গাছটি মরে যায়।
রোগাক্রান্ত গাছের কান্ড মাটি থেকে ১-২ ইঞ্চি উপরে ছুরি দিয়ে কেটে পরিষ্কার কাঁচের গ্লাসের পানিতে রাখলে ২-৩ মিনট পরেই সাদা সূঁতার মতো পুঁজ বের হয়ে আসতে দেখা যায়। এ পদ্ধতিটি দ্বারা সহজেই এ রোগের জীবাণুকে সনাক্ত করা যায়।
সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনাঃ
রোগাক্রান্ত গাছ দেখা মাত্র তুলে ধ্বংস করা।
শস্য পর্যায়ক্রম করা যেমন ভুট্টা, সরিষা, গম।
রোগ সহনশীল জাত চাষ করা।
পরিমিত সেচ প্রদান। এ রোগ ধরে গেলে সেচ বন্ধ করা।
বীজ ও চারা শোধন করা (স্ট্রেপ্টোসাইক্লিন বা স্ট্রেপ্টোমাইসিন বা প্লান্টোমাইসিন ১ গ্রাম ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে গাছে স্প্রে করা যেতে পারে।
হেক্টর প্রতি ৫ টন অর্ধপচা মুরগির বিষ্ঠা লাগানোর কমপক্ষে ২১ দিন আগে জমিতে প্রয়োগ করে মিশিয়ে দেয়া এবং মাটির সাথে ভালভাবে পচাতে হবে।
সরিষার খৈল ৫০০ কেজি/হেক্টর হারে জমির শেষ চাষের সময় প্রয়োগ করতে হবে।
কার্বোটাফ/ ব্রিফার৫জি/রাগরি ১০ জি নামক কৃমিনাশক টবের আকৃতি অনুযায়ী ২-৫ গ্রাম হারে চারা লাগানোর সময় অথবা মাটি তৈরীর সময় প্রয়োগ করলে টমেটো,বেগুন, মরিচ ,ঢেড়শে ঢলে পড়া রোগ এবং শিকড়ে গিঁট কৃমি বা রুট নট নেমাটোড স্বার্থক ভাবে দমন করা যায়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস