বৃক্ষের চারা রোপণের কৌশল ও ব্যবস্থাপনা:
শুরুতেই আদর্শ চারা নির্বাচন করতে হবে। আদর্শ চারার বৈশিষ্ট্য হলো কান্ড মোটা, খাটো ও মূলের বৃদ্ধি সুষম হতে হবে। তাছাড়া সঠিক বয়সের চারা ও রোগমুক্ত ও সুস্থ সবল চারা সংগ্রহ করতে হবে। বিশ্বস্ত সরকারি কিংবা বেসরকারি নার্সারি থেকে চারা সংগ্রহ করতে হবে।
চারা রোপণের সময়:
বর্ষাকাল চারা রোপণের উৎকৃষ্ট সময়। চারা রোপণের সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে সাধারণত সারাবছরই চারা লাগানো যায়। যে কোন গাছের চারা রোপণ করার সর্বোত্তম সময় দিনের শেষভাগে অর্থ্যা পড়ন্ত বিকেল বেলায়।
টরবর মাটির সাথে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক সার যথা ইউরিয়া সার, টিএসপি সার, এমওপি সার, জিংক সার ও বোরণ সার ব্যবহার করতে হবে। তবে অবশ্যই পঁচা গোবর বা কম্পোস্ট সার মাটির সাথে খুব ভালোভাবে মিশিয়ে ব্যবহার করতেই হবে। সার মিশানোর পরে ১০-১৫ দিন পর চারা রোপণ করতে হয়। মাটি শুকনো হলে পানি দিয়ে হালক ভিজিয়ে নিলে ভালো হবে। টবের মাটি ভালোভাবে বসিয়ে মাঝখানে কিছু উঁচু করে নিতে হবে।
নার্সারি থেকে চারা সংগ্রহের পরপরই ছায়াযুক্ত জায়গায় রাখতে হবে। এই অবস্থাকে চারা গাছের হার্ডেনিং বা সহিষ্ণুকরণ/শক্ত করণ বলা হয়। হার্ডেনিং এর ফলে চারা গাছের মরে যাওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে যায়। এ অবস্থায় মাঝে মাঝে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, চারার গোড়ায় লাগানো মাটির চাকাটি যেন কোনভাবেই ভেঙ্গে না যায়। চারা লাগানোর আগে রোগাক্রান্ত, জীর্ণ পাতা ও ডালপালা ছেঁটে দিতে হবে। পলিব্যাগ/বস্তা/ছোট টব এমনভাবে অপসারণ করতে হবে যাতে চারার গোড়ার মাটির চাকা ভেঙে গুড়িগুড়ি না হয়ে যায়।
চারার গোড়ার চারপাশে কোঁকড়ানো বা আঁকাবাঁকা শিকড় কেটে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, চারাটির যতটুকু অংশ মাটির নিচে ছিল রোপণের সময় ঠিক ততটুকু অংশ মাটির নিচে রাখতে হবে। তারপর চারার চারপাশে ফাঁকা জায়গায় মাটি দিয়ে ভালোভাবে পূরণ করে দিতে হবে। চারপাশের মাটি ভালোভাবে চেপে ঠেসে দিতে হবে যাতে কোনো ফাঁকা জায়গা না থাকে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো সদ্য লাগানো চারায় খুঁিট দেওয়া। চারা রোপণের পরপরই চারার গোড়ায় ও পাতায় পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
রক্ষণাবেক্ষণ কৌশল:
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস